রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ন
শরিফা বেগম শিউলী- রংপুর বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
রংপুর সদর থানার লালচাদপুর খাঃ উঃ বহুমুখি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার গভর্নিং বড়ি গঠনের অনিয়ম অর্থ আত্মসাৎ স্বেচ্ছচারিতা ও নিয়াগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসীর পক্ষে সোহেল রানা।
শনিবার ৯ই সেপ্টেম্বর ২৩ইং লালচাদপুর সলেয়াশাহ ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে অভিযােগ করে এলাকা বাসীর পক্ষে সমাজ সেবক লালচাদপুর খাঃ উঃ বহুমুখি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সাবেক সহ সভাপতি মোঃ সোহেল রানা লিখিত বক্তব্য পাট করে বলেন বিগত ২২/০৯/২০২২ইং তারিখে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে রােজিষ্ট্রের কার্যালয় হইতে স্বাক্ষরিত একখানা গভর্নিং বডি গঠনের পত্র, যাহার স্মারক নং- ইআবি/রেজিপ্রশা/ফা,গ,প্য/র-১১৩/২০১৭/৫০০৮(০৮) প্রেরণ করনে। সেই আলােকে গর্ডনিং বড়ি গঠনের আরবী বিশ্ববিদ্যালের অডিনেন্স মােতাবেক একই ব্যক্তি পর পর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ বারের বেশী সভাপতি পদে থাকিতে পারিবেন না। কিন্তু বর্তমান সভাপতি এ.কে.এম মাহাবুব আলম বিশ্বাস পর পর ৩ বার কিভাবে সভাপতি নিয়ােগ পান, আমরা সাধারণ অভিভাবক ও এলাকাবাসীগণ অদ্যাবধি তাহা জানতাম না।
কে এই মাহাবুব আলম বিশ্বাস আমরা এলাকাবাসী জানিনা। তার বাড়ী কোথায়, কি করেন? আর বর্তমান অভিভাবক সদস্য তাহাদের কোন ছেলে-মেয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে না।গভর্নিং বডির দাতা-তিনি কিভাবে দাতা সদস্য নিয়ুক্ত হন, আমরা অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানতে চাই। গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মোেঃ সহিদুল ইসলাম, মােঃ আউয়াল হােসেন চৌধুরী,আপন ভাইরা ভাই।
অভিভাবক সদস্য মােঃ আমজাদ হােসেন ও দাতা সদস্য মােঃ অলিউল ইসলাম তারা দুজনে তারা শিক্ষক প্রতিনিধি আউয়াল হােসেন চৌধুরীর আপন মামা বিদ্যুৎসাহী সদস্য মােঃ নাজির হােসেন, সহিদল ইসলামের পালিত সন্তান। একই পরিবারের সদস্য। আমরা সাধারণ অভিভাবকগণ ও এলাকাবাসী মর্মাহত ও ব্যাথিত। নিয়মতান্ত্রীকভাবে এই কমিটি গঠন হয় নাই শুধু কাগজে আর কলমে।
অত্র প্রতিষ্ঠানে এই অসাধু কমিটির কারণে কোন ছাত্র/ছাত্রী নেই বললেই চলে। ছাত্র/ছাত্রীর চেয়ে শিক্ষক বেশী, তার উপর নিয়াগ বাণিজ্য এই কমিটি অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে কোন মিটিং করেন নাই, শুধু কাগজপত্রে মিটিং দেখানাে হয়। একই পরিবাররে গভর্নিং বডির সদস্য ও অসাধু সভাপতির মদদে মাদ্রাসার পুরাতন বিল্ডিং এই অসাধু সভাপতি নিজের মনগড়া সিদ্ধান্তে দরপত্র ছাড়াই অন্যত্র বিক্রি করিয়াছেন এবং বিক্রয়কৃত অর্থ আত্মসাৎ করিয়াছেন।
গত ২০১৪ইং সনে ৬ জন শিক্ষক ও ১ জন অফিস সহকারী নিয়ােগ দেন এবং তাদের কাছ মােটা অংকের টাকা আদায় করেন উক্ত টাকা কোন খাতে ব্যায় হয়েছে তাহা কেউ জানেনা।২০২২ ইং সালে পুনরায় ১ জন কম্পিউটার অপারেটর ও ১ জন আয়া নিয়ােগ দেন এবং তাদের কাছ থেকেও মােটা অংকের টাকা আদায় করেন। সেই টাকারও কোন খাতে ব্যয় করেছেন আমরা জানিনা। বর্তমানে আবারও ১ জন অফিস সহায়ক শূন্য পদ সহ বিভিন্ন পদে নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
কোন পত্রিকার নিয়ােগ বিজ্ঞাপ্তি দিয়েছেন কেউ জানেনা। উক্ত মদ্রাসার বিপুল পরিমাণ মানুষের দানকৃত জমি উত্ত কমিটি ইচ্ছামত ভােগ দখল ও বন্ধক রেখে ক্ষতিসাধন করিতেছে। এইভাবে প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা চলিলে, প্রতিষ্ঠান ছাত্র/ছাত্রী সংখ্যা শূন্যের কোঠায় উপনীত হইবে।
এই প্রতিষ্ঠান একটি পারিবারিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হইয়াছে মর্মে আমরা তা নিরসনের জোর দাবী জানাই। সরকারের নিকট আকুল আবদেন জানিয়ে উপরােক্ত বিষয়াবলী সরেজমিনে তাদন্তরূর্বক এই প্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষার্থে রালুগ্রাস গভর্নিং বডির সভাপতির হাত হইতে মুক্তিদানে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৫নং খলেয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদ, রুস্তম আলী পাটোয়ারী, রবিউল ইসলাম রবি, খাইরুল ইসলাম,সমাজ সেবক নুরুল ইসলাম প্রামানিক, আনিছুল হকসহ চার ইউনিয়নের গম্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।